Thursday, July 24, 2008

এনজয় ডুয়িং নাথিং

যারা আমার ফেসবুকের বন্ধু তাদের উদ্দেশে আমার সাম্প্রতিক স্টেটাস হিসাবে আমি উপরের লাইনটা ঝুলায়ে দিছি।
ফেসবুক প্রশ্ন করে : হোয়াট আর ইউ ডুয়িং রাইট নাউ?
আমি এই লাইনটা লেখার পর আমার স্টেটাস দাঁড়ালো : মাহবুব ইজ এনজয়িং ডুয়িং নাথিং।
কথাটা লিখার পর একটু মজা লাগলো। শান্তি পাইলাম। তৎক্ষণাত মনে পড়লো না কথাটা আমি কই পাইছি। কিন্তু মনে হইলো কথাটা আমার নিজের না। কোথাও পাইছি। হঠাৎ কাল টিভি দেখতে গিয়া দেখি একটা বিজ্ঞাপনে কইতেছে, এনজয় ডুয়িং নাথিং। কীসের বিজ্ঞাপন তৎক্ষণাত বুঝতে পারলাম না। হবে কোনো ব্যাংক বা ইন্সু্রেন্স কোম্পানির বিজ্ঞাপন। কিছু না করাটাকে এনজয় করতে বলতেছে। যা কিছু করবে ওরা।
আপনি বসে থাকুন।
যাই হোক, কথাটা খুব মনে ধরে। কিছু না করার মধ্যেও তাইলে এনজয় করার কিছু আছে? হয়তো যে কাউকে কথাটা মুহূর্তে টেনে নেবে। আকৃষ্ট করবে। আমাকেও করছে।
এই আকর্ষণ করার একটা ইতিহাস আছে।
আমার প্রিয় কবি এমে সেজায়ারের দেশে ফেরার খাতার কথা বলছিলাম তার মৃত্যু প্রসঙ্গে। আমার খুব প্রিয় কবিতা। বহু মানুষের প্রিয় কবিতা। সেখানে উনি বলেছিলেন (হুবহু মনে নাই, বানায়া কইতেছি),
যারা জলকে বশ মানিয়ে তৈরি করেনি বিদ্যুত,
যারা আবিষ্কার করেনি কোনো গ্রহ
দিগন্তকে উন্মোচিত করেনি
নতুন মহাদেশের খোঁজে পরিচালনা করেনি কোনো অভিযান
পর্বতের সুউচ্চ শিখরে যারা বিজয়পতাকা ওড়ায়নি
আমি তাদের জয়গান গাইছি।

কথাগুলা খুব মনে ধরেছিল। যা কিছু নায়কোচিত, যা কিছু গর্বের বলে বিবেচিত তার বাইরের বিষয়গুলারও যে জয়গান গাওয়া সম্ভব তা আমার আইডিয়াতেই আছিল না। এমে সেজায়ারই প্রথম আইডিয়াটা মাথায় ঢোকান। বুঝতে পারি, জগতে কিছু আবিষ্কার না করা, কোনো নতুন অভিযান পরিচালনা না করা, কোনো জাতিকে পদানত না করার মধ্যেও মাহাত্ম্য আছে।
২০০৬ সালের পয়লা অক্টোবর নিউ ইয়র্ক টাইমস পড়তে আছিলাম। হঠাৎ একটা শিরোনামে চোখ আটকে গেল। টেন ডেজ উইথ অবলোমভ : এ জার্নি ইন মাই বেড। (Click This Link)অবলোমভ মানে জানি না, কিন্তু জার্নি ইন বেড কথাটা মনে ধরলো।
আসলে ইভান গনসারভের একটা উপন্যাসের নাম অবলোমবভ। সেই উপন্যাসের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই লেখক এই দশ দিনের বিছানা-সংগ্রামের কথা তুইলা ধরছেন। গ্রেইট আইডিয়া। পুরা টাসকি খায় গেলাম।
এখন আলস্যে কাটাবার মতো সময় খুব কম মেলে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করে না। চোখ মেলে তাকানোর ইচ্ছা পর্যন্ত না। কিংবা চোখ মেললেও বিছানা থেকে নামতে ইচ্ছা করে না। খাবার গরম করে খেয়ে নেওয়ার ইচ্ছাও করে না। একটা সময়ের কথা খুব মনে পড়ে, যখন বাড়িতে বসে খেতাম আর শুয়ে অলস চিন্তা করতাম। কী চিন্তা সেটাও চিন্তা করতাম না। অর্ধ ঘুম অর্ধ জাগরণের একটা চমৎকার সময়ের কথা মনে হইলো নিউ ইয়র্ক টাইমসের লেখাটা পইড়া।
উইকিপিডিয়ায় সার্চ দিলাম। অবলোমভ সম্পর্কে ডিটেইল সংগ্রহের উদ্দেশে।
ইভান গনসারভের অবলোমভ উপন্যাসটি প্রথম প্র্রকাশিত হয়েছিল ১৮৫৯ সালে। উপন্যাসটি রাশিয়ায় ভীষণ জনপ্রিয় হইছিল। এর নায়কসহ বিভিন্ন চরিত্র রাশিয়ান সমাজে অহরহ উদ্ধৃত হইতো।
অবলোমভ উনিশ শতকের রাশিয়ার উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি আলস্যভরা। দিনের সামান্য যে কাজ তাও সে বিছানায় শুয়া, সোফায় বইসা করে। জীবনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে না। জীবনের কোনো উদ্দেশ্য সম্পর্কে সে নিশ্চিত হতে পারে না। এমনকি আগের মুহূর্তে কী ভেবেছিল তাও মনে করতে পারে না।
আলস্যের এই বিপুল জয়গান সম্পর্কে আমি যে অনবহিত আছিলাম সেইটাই একটা দুঃখের কথা। যাই হউক উইকিপিডিয়ার এন্ট্রিতে (http://en.wikipedia.org/wiki/Oblomov) লেনিনের একটা উদ্ধৃতি পাইয়া যারপর নাই খুশ হইলাম।
১৯২২ সালে ভ. ই. লেনিন কইতেছেন, রাশিয়া তিনটা বিপ্লব করছে, লেকিন এখনও অবলোমভরা রয়া গেছে। নতুন কোনো চেতনা জাগার আগে এইগুলারে ঝাড়েবংশে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।

আমরা যারা বিপ্লবে বিশ্বাসী না, কোনো অভিযান, আবিষ্কার যাদের আকৃষ্ট করে না তাদের জন্য আদর্শ চরিত্র অবলোমভ। আশার কথা অবলোমভ শব্দ থিকা অবলোমোভিজম ও অবলোমোভিস্ট শব্দ তৈরি হইছে।
তাই কেউ যখন আমারে জিগায়, আমি কী করতেছি?
আমি কই এনজয়িং ডুয়িং নাথিং।

পুনশ্চ : গুগলে এনজয় ডুয়িং নাথিং সার্চ দিয়া দেখলাম জেনদর্শনেও নাকি জিনিশটা আছে। কেমনে আছে কী আছে কে জানে? অত জানার দরকার কী?

সচলায়তন সংকট : হোয়াট ইজ টু বি ডান?

আজ ২০ জুলাই। ১৫ জুলাই থেকে সচলায়তন সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে। ১৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশের ইউজার ও ভিজিটররা সচলায়তন সাইটটিতে সরাসরি ঢুকতে পারছেন না। এই ঢুকতে না পারা বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। নানা জল্পনা-কল্পনা পল্লবিত হয়েছে। বোঝা যায়, বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে থাকার বড় একটি কমিউনিটি। এ ইস্যুতে ব্লগার মুখ্যত ত্রিধাবিভক্ত হয়ে গেছেন।
১. একভাগ বিশ্বাস করেন সচলায়তন অঘোষিত কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অষোষিত ব্যানের শিকার হয়েছে।
২. একভাগ মনে করেন, বিটিসিএল এন্ড বা সার্ভার (ব্লু হোস্ট ) এন্ডে কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে। (http://amarblog.com/sushantaa/2766)
৩. একভাগ মনে করেন সচলাতয়ন কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে পাবলিসিটি তৈরি করার জন্য এই ছদ্মব্যান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
ব্লগাররা যাই মনে করুক, সত্য হলো, সচলায়তন ১৫ জুলাই থেকে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বিচার করে, সচলায়তন কর্তৃপক্ষের ভীত-সন্ত্রস্ত প্রতিক্রিয়া থেকে যা বোঝা যায় তাতে তারা পাবলিসিটি তৈরি করার জন্য এ কাজটি করেছে বলে মনে করা যায় না। মনে করা কষ্টকর। এবং আমাদের সকলের চিন্তাকে অবাক করে দিয়ে যদি তা ঘটে তবে বাংলা ব্লগের ইতিহাসে তা সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হিসেবে উদ্ধৃত হবে।
সচলায়তন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সার্ভার এন্ডে কোনো সমস্যা নেই। আমার জানামতে, একাধিক বার তারা বিষয়টি কনফার্ম করেছে।
যদি সার্ভার এন্ডে সমস্যা না থাকে তাহলে বিটিসিএল এন্ডে কোনো কারিগরি ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। সুশান্তর পোস্টের যে লিঙ্ক ওপরে দিয়েছি তাতে সচলায়তনের মতো সমস্যায় পড়েছে এমন বহু সাইটের লিঙ্ক তিনি দিয়েছেন।
বিটিসিএল প্রান্তে কারিগরি সমস্যা এবং অঘোষিত ব্যান দুটি প্রসঙ্গের দিকে সকলের নজর এখন কেন্দ্রীভূত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অসমর্থিত বা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক যেসব সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট হয় না যে সচলায়তন ব্যান হয়েছে। কারণ, কোনো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উৎস যদি বলে সচলায়তন ব্যান হয়েছে। তাহলে ধরে নিতে হবে ব্যানের খবর তিনি শুনেছেন বা জেনেছেন। পাশাপাশি স্বাভাবিক কৌতুহল থেকে সবার মনে যে প্রশ্নটি আসে, কেন? সেটি তার মনে আসবে না, এটা বিস্ময়কর। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলোর কেউই কারণ নির্দেশ করতে পারেননি। অন্তত একটি কারণও কেউ উল্লেখ করেননি। ফলে, খবরটির বর্তমান অবস্থা কী?
''নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, অজানা কারণে অজানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সচলায়তন সহ জানা-অজানা একাধিক সাইট অঘোষিত ব্যানের শিকার হয়েছে।'' আর যাই হোক, খবর হিসেবে এটি কতটা আবেদন সৃষ্টিকারী তা যে কেউ বিবেচনা করতে পারবেন।
এছাড়া কিছু পরিস্থিতিগত কারণে ব্যানের বিষয়টি অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। যেমন :
১. বাংলাদেশে বর্তমানে জরুরি অবস্থা জারি থাকলেও এবং জরুরি অবস্থার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সহ কিছু মৌলিক মানবাধিকার স্থগিত থাকলেও কখনোই মিডিয়ার ওপর অল্প কিছু সময়ের জন্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় নাই।
২. বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো আলাপ-আলোচনা ও আপোসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আপোস-আলোচনার পথটি অনেক প্রশস্ত। ফলে, মিডিয়া জরুরি অবস্থার প্রথম দিকের অবস্থার চেয়ে অধিকতর সাহসের সঙ্গে কথা বলছে।
৩. যেসব মিডিয়ার বেলায় বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে আইনগত ঢালের আড়ালেই সরকার কাজ করেছে। বেআইনিভাবে কোনো মিডিয়াকে বন্ধ করা হয়নি। এক্ষেত্রে কৌশল করা হলেও আইনগত অজুহাত ছিল।
৪. বাংলা ব্লগ এখনও কমিউনিটি হিসেবে ছোট। সচলায়তন তার প্রায় ২০০ ইউজার ও এর ৩ থেকে ৫ গুন ভিজিটর নিয়ে ছোট পরিসরে কাজ করছিল। এই ছোট আকারের কমিউনিটির মতামতকে গ্রাহ্যের মধ্যে না নিয়ে আসাই সরকারের জন্য স্বাভাবিক।
৫. সচলায়তন যদি সরকার-বিরোধী কোনো কাজ করে থাকত তবে স্বাভাবিকভাবে তাদের সতর্ক করাকেই যথার্থ উদ্যোগ হিসেবে ধরা যেত।
৬. নিরুপায় হয়ে ব্যান করার মতো সিদ্ধান্তে উপনীত হলে, উপযুক্ত কারণ নির্দেশ করতে না পারার মতো দুর্বল অবস্থানে সরকার আছে বলে মনে হয় না।
৭. সরকার বা সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ সচলায়তনের ভয়ে অঘোষিত ব্যান আরোপ করেছে এটা অধিক চিন্তা বলে মনে হয়।

তারপরও অনেকে মনে করেন, সচলায়তন অঘোষিত ব্যানের শিকার হয়েছে। তাদের কাছে প্রশ্ন সচলায়তন কেন ব্যান হবে? নানা পোস্টে ও আলোচনায় যেসব কারণ উঠে এসেছে সেগুলোকে এক সাথে দেখা যেতে পারে।
১. সচলায়তনের ব্যানারে হায়েনার ছবি ব্যবহার করে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে আমরা ভাল আছি। নানা সময়ে ব্যানারে এ ধরনের কনটেন্ট ইউজ করা হয়েছিল।
২. টাকা তুলে রাজাকার মারার খুনি জোগাড় করার মতো উদ্যোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে।
৩. সচলায়তন একটি ক্লোজড ফোরাম। খুব বিচার-বিবেচনা করে সেখানে ব্লগার নেয়া হয়। লেখার মানের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা এক্ষেত্রে বেশি কাজ করে। ফলে, সরকারি কর্তৃপক্ষের ধারণা হতে পারে যে, এটি একটি ক্লোজড ও রেজিমেন্টেড গ্রুপ।
৪. কাকতালীয়ভাবে সচলায়তনের মডারেটর, উদ্যোক্তা ও কর্তাব্যক্তিরা সবাই দেশের বাইরে থাকেন। সরকারি কর্তৃপক্ষ মনে করতে পারে নোটিশ দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
৫. সেখানে জামাত ও রাজাকার বিরোধী লেখা প্রকাশ করা হয় নিয়মিত, ফলে কর্তৃপক্ষের জামাত-পছন্দ কেউ এটি প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করাতে পারেন।
৬. একই মতাদর্শের লোকজন একত্রিত হয়েছে বলে সেখানে সরকার-বিরোধী লেখা বেশি প্রকাশিত হয়। এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের লেখা ছাপা হয় না। বা, কোনো কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি সেখানে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ পান না। ফলে, একতরফা এই মিডিয়া নিয়ে সরকারের মধ্যে সংশয় তৈরি হতে পারে।

কিন্তু আমার মতো ব্লগারদের অনেকেই বিশ্বাস করেন, সচলাতনের মধ্যে ছেলেমানুষী আছে, ছেলেমানুষী আবেগ আছে, ম্যাচুরিটির অভাব আছে কিন্তু তারা কোনো রেজিমেন্টেড গ্রুপ না। কাকতালীয়ভাবে তারা সবাই বিদেশে অবস্থান করলেও দেশে তাদের শেকড় আছে। ফলে, দেশের আইন কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও আছে। এ কয়দিনে তাদের প্রতিক্রিয়া থেকে সেটি স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে।
সচলায়তনের প্রতি ব্লগার হিসেবে আমাদের অভিযোগ অনেক। তাদের নীতি-পদ্ধতি আমাদের পছন্দ নয়। সেখানে যে মতপ্রকাশের পরিস্থিতি বিদ্যামান তাকে আমরা মতপ্রকাশ মনে করি না। তারপরও আমাদের মত হলো, সমাজে ভিন্নমতের অবস্থান আমরা চাই। সচলায়তন ভুলভাবে যে চর্চা করছে সেটা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের আছে।
সরকার যদি সচলায়তনের কোনো ব্যাপারে আপত্তি করে, তবে সরকারের উচিত ফোরামটির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া। অথবা এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য পাঠানো।
যদি গুরুতর আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সেটি নিষ্পন্ন করা।
কোনো ব্যানের ঘটনা বাস্তবায়ন করা হলে সেটি ঘোষণা দিয়ে করা। যথাযথ কারণটি উল্লেখ করা।
কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অঘোষিত ব্যান কাম্য নয়।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, মতপ্রকাশের অধিকার, ইন্টারনেট মাধ্যমে প্রসার ও সমাজে বহুমতের লালন-পালনের ব্যাপারে এই সরকার মনোযোগি এবং বর্তমান গ্লোবাল পরিস্থিতিতে তারা সংবাদ ও গণমাধ্যমের ওপর এমন কোনো সেন্সরশিপ আরোপ করতে চান না, যা আমাদের দেশকে একটি বদ্ধমতের দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ফলে, সরকারি কর্তৃপক্ষ অঘোষিত ব্যান উঠিয়ে নেবে বলেই আমাদের আবেদন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এটি কোনো অঘোষিত ব্যানের ঘটনা নয়। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি কোনো অঘোষিত ব্যানের পরিস্থিতি নয়। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এটা একটা কারিগরি ত্রুটিমাত্র। শীঘ্রই এই ত্রুটি সারিয়ে ফেলা হোক। সচলায়তন নিয়ে যে অভূতপূর্ব ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে তা পল্লবিত হওয়ার আগেই মিটিয়ে ফেলা হোক।